বিনোদন ডেস্ক ॥ বলিউডে ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারী শব্দটি খুব একটা প্রচলিত নয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে #গবঞড়ড়-তে সরব হওয়ার পর থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক প্রকল্পে দৃশ্যের জন্য ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারীকে রাখা হয়ে থাকে। যাঁরা নগ্নতা বা যৌন সামগ্রীর সঙ্গে জড়িত কোরিওগ্রাফ দৃশ্যে সহায়তা করে থাকে। ভারতেও একটা সময় পর থেকে #গবঞড়ড় আন্দোলনে সরব হতে দেখা যায় অনেককে। তবে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়কারীকে নিয়োগ করা এখনও পশ্চিমের দেশগুলোর মতো নিয়মিত হয়নি ভারতে। সম্প্রতি অভিনেত্রী ও পরিচালক পূজা ভাট প্রকাশ করেছেন, জনপ্রিয় হওয়ার আগে তাঁর সিনেমাগুলোতে তিনি ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। এই সম্পর্কে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পূজা জানিয়েছেন, ‘জিসম’ ছবি পরিচালনার সময় সেখানে দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিপাশা বসু এবং জন আব্রাহাম। তবে ছবিতে তিনি শুধু পরিচালকই নন একজন ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। বিপাশার ছবির অন্তরঙ্গ দৃশ্যে শুটিং করতে অস্বস্তি বোধ যেন না হয়, সেদিকে নজর রেখেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অন্তরঙ্গ দৃশ্যের জন্য, আমি ক্রুদের নিজে সন্ধান করি যারা কোনো অভিনেত্রীকে সেটে অস্বস্তি বোধ করাবেন না, কারণ সেদিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। ২০০২ সালে ‘জিসম’-এর মতো প্রেমমূলক থ্রিলার ছবি বানানোর সময়, আমি বিপাশা বসুকে বলেছিলাম, একজন নারী এবং অভিনেত্রী হিসাবে আমি তোমাকে এমন কিছু করতে বলব না যা করতে তুমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না’। তিনি আরো বলেন, ‘ছবিতে কোনো নগ্নতা ছিল না, সেখানে খোলামেলা যৌনতা ছিল না, তাঁকে জন আব্রাহামকে প্ররোচিত করতে হয়েছিল। আমি ওকে বিশ্বাস করার কথা বলেছিলাম, নোংরা বা দ্বিধাগ্রস্ত হতে মানা করেছিলাম। ওকে নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম, কতদূর যেতে হবে’। পূজা সম্প্রতি প্রকাশিত নেটফ্লিক্স সিরিজ, বম্বে বেগমসের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের সময় অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও বলেছেন। সেটে যখন কোনো ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারী ছিল না, তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে পরিচালক অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়ে ছিলেন। পূজার কথায়, ‘অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো আমরা কিভাবে করতে যাচ্ছি তা নিয়ে অলঙ্কৃতা এবং আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করেছিলাম, পরিচালক এবং সহশিল্পীদের ওপর নির্ভর করেছিলাম। আমি শিশুদের মতো বা নোংরা বোধ করে বাড়িতে যাইনি’। উল্লেখ করেন, কয়েকটি নেটওয়ার্ক ঘনিষ্ঠতা সমন্বয়কারীকে জোর দিচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি ‘পূর্ববর্তী সময়ের থেকে টেকটোনিক শিফট’। পূজা নেটফ্লিক্সের সিরিজে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন (এনসিপিসিআর) বাচ্চাদের অনুপযুক্ত ছবির নোটিশ দিয়ে আপত্তি করেছিল। পরে এই শো’টি বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।
Leave a Reply